দক্ষিণ তুরস্ক- উত্তর সিরিয়ায় গত সোমবারে আঘাত হানা বিধ্বংসী এক ভূমিকম্পে এখন পর্যন্ত আট হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন বহু মানুষ। এরইমধ্যে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) অনুমান করছে, তুরস্ক এবং সিরিয়াজুড়ে আড়াই কোটিরও বেশি মানুষ এই ভূমিকম্পের শিকার হয়েছেন।
ভয়াবহ এই ভূমিকম্পে এখন বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় হৃদয়বিদারক খবর উঠে আসছে। তেমনি ভূমিকম্প কেড়ে নিয়েছে মেসুত হ্যান্সারের ১৫ বছর বয়সী মেয়ের প্রাণ। কিন্তু ধ্বংসস্তূপে চাপা পড়া মেয়ের মরদেহ এখনও উদ্ধার করতে পারেননি তিনি। শোকে নির্বাক বাবা বসে আছেন মেয়ের মরদেহের পাশে। আলতো করে ধরে আছেন মেয়ে ইরমাকের হাত।
মেসুত হ্যান্সারের অসহায়ত্বের কাছে শোকও যেন হার মেনেছে! তার চোখে পানি নেই, রাজ্যের হতাশা আর অসহায়ত্ব তার চোখেমুখে। বার্তা সংস্থা এএফপির এক আলোকচিত্রীর ক্যামেরায় ধরা পড়েছে তার এই অসহায়ত্বের মুহূর্ত।
মেসুত হ্যান্সার তুরস্কের কাহরামানমারাস শহরের বাসিন্দা। স্থানীয় সময় সোমবার ভোরে তুরস্ক-সিরিয়া সীমান্তবর্তী অঞ্চলে ৭ দশমিক ৮ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে মেসুত হ্যান্সারের ১৫ বছর বয়সী মেয়ে ইরমাকের মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু উদ্ধারকর্মীরা এখনও তার মরদেহ উদ্ধার করতে পারেননি। তাই ঝুঁকিপূর্ণ জেনেও মেসুত হ্যান্সার ওই ধ্বংসস্তূপে ছেড়ে যাননি, বসে আছেন মেয়ের হাত ধরে।
শক্তিশালী ভূমিকম্পে রীতিমতো ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে তুরস্ক ও সিরিয়ার সীমান্তবর্তী অঞ্চল।
© All rights reserved 2000-2023 © kalerchaka.Com
Leave a Reply