চলচ্চিত্রে আসা নবাগতদের মধ্যে সায়মা স্মৃতিকে নির্মাতারা সম্ভাবনাময় বলে মনে করছেন। পরিচালক আরিফুজ্জামান আরিফ বলেন, ‘আমার অগ্নিশিখা ছবিতে তাকে নায়ক আদর আজাদের বিপরীতে নিয়েছি। মেয়েটির আচরণ অন্যান্য নবাগতদের তুলনায় অনেক ভালো। তার মধ্যে সময়ানুবর্তিতা আছে, কাজের প্রতি বিশ্বস্ততা এবং একটা কাজ না পারলে তাকে বাগে আনার প্রচেষ্টা – অর্থাৎ অভিনয়টাকে আয়ত্ত করার সব রকম চেষ্টা তার মধ্যে আছে। চলচ্চিত্রের বর্তমান নেতিবাচক পরিস্থিতির কারণে তার প্রতিষ্ঠিত হতে হয়তো সময় লাগবে। কিন্তু আগের সময় থাকলে তাকে পিছু ফিরে তাকাতে হতো না।’
সায়মা স্মৃতি ইতোমধ্যেই ‘অগ্নিশিখা’ ছাড়াও আরো তিনটি ছবিতে কাজ করছেন। সেগুলো হলো অপূর্ব রানার ‘জলরঙ’, এইচআর হাবিবের ‘জল কিরণ’ এবং আবু সাঈদের ‘সংযোগ’। এর মধ্যে জলরঙ ছবিটি অনুদানের অর্থ সহযোগিতায় নির্মিত হচ্ছে। এসব ছবির কোনোটিই এখনো মুক্তি পায়নি।
সায়মা স্মৃতি চাঁদপুরের মেয়ে হলেও জন্ম ঢাকায় এবং পড়াশোনা ঢাকাতেই। সুতরাং তার জীবনধারা গড়ে উঠেছে নাগরিক সাংস্কৃতিক আবহে। তিনি পছন্দ করেন নারী প্রধান গল্প। কথা প্রসঙ্গে বলেন, ‘নারী কেন্দ্রিক গল্পের চরিত্র আমার পছন্দ। তবে নির্মাতারা তো আর আমার পছন্দ মতো ছবি নির্মাণ করবেন না।’ তিনি বলেন, ‘আমি যে চারটি ছবিতে কাজ করছি, সে চারটি চার ধরনের ছবি। জলরঙ একটি গল্পের ছবি। এখানে চরিত্র কোনো বিষয় নয়। জীবন সংগ্রামের কথাই এই গল্পের উপজীব্য। এভাবে সবগুলো ছবিই কোনো না কোনো কারণে বৈশিষ্ট্যমণ্ডিত।’
‘অগ্নিশিখা’ ছবির নায়ক আদর আজাদ সম্পর্কে বলেন, ‘তিনি একজন সহযোগিতাপরায়ন অভিনেতা। সবচেয়ে বড় কথা হলো তিনি প্রযুক্তিটা খুব ভালো বোঝেন। তার প্রতিটি ছবিতেই তিনি সেই প্রতিভার স্বাক্ষর রেখেছেন।’ সায়মা স্মৃতি জানান, ‘নতুন আরো দু’তিনটি ছবির কথা চূড়ান্ত হয়েছে। কোনোটিতে এখনো চুক্তিবদ্ধ হইনি। তাই এই মুহূর্তে কোনো ছবির কথা বলতে চাই না।’ মূলত চলচ্চিত্র ক্যারিয়ার ইলাস্টিকের মতো। ইলাস্টিক টানলে যেমন লম্বা হয়, তেমনি ক্যারিয়ার বাড়াতেও লেগে থাকতে হয়। সায়মা স্মৃতি এই তত্ত্বে বিশ্বাস করেন।
© All rights reserved 2000-2025 © kalerchaka.Com
Leave a Reply