বিশেষ প্রতিনিধি : ঢাকা সহ সারাদেশে ভেজাল হারবাল ইউনানী আয়ুর্বেদিক ও হোমিওপ্যাথিক ওষুধ এখন বাজারে সহজলভ্য তাই কতিপয় কোম্পানি গণ মাধ্যম সহ নানাভাবে প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে সাধারণ মানুষকে ধোঁকা দিয়ে এসব ওষুধ বাজারজাত করছে।
সেই সাথে দেশের বিভিন্ন এলাকার কথিত হারবাল ইউনানী আয়ুর্বেদিক ও হোমিওপ্যাথিক ল্যাবরেটরিতে ভেজাল ওষধ উৎপাদন করা হচ্ছে। এসব সিরাপ বা ওষুধ খেয়ে একের পর এক শিশুসহ বিভিন্ন বয়সের মানুষ মারা যাচ্ছে। এসব সিরাপ সেবন করা হলে মানব দেহের মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে। কিন্তু এসব কোম্পানী গুলো লাইসেন্সপ্রাপ্ত। তাই এসব ক্ষতিকারক ঔষধ বাজারে চালিয়ে দেওয়া হয়েছে। যদি এই সকল ওষদ কেন্দ্রিয় ওষধ পরিক্ষাগারে পরিক্ষা করা হয় তাহলে দেশ ও জনগণের জন্য কল্যান বয়ে আনবে।
কিন্তু এসব অধিকাংশ ওষধের ট্রেডনামের কোন অনুমোদন নেই বলে জানা গিয়েছে। ইতি মধ্যে রাজশাহীর শাহমখদুম উত্তর নওদাপাড়া এলাকার
এর অরিজিন ল্যাবরেটরীজ (আয়ুর্বেদীক) এর বিরুদ্ধে অনুমােদনহীন ট্রেডনামে ওষধ উৎপাদন ও বাজারজাত করনের অভিযোগ পাওয়া গিয়াছে। অরিজিন ল্যাবরেটরীজ (আয়ুর্বেদীক) তাদের উৎপাদিত ”আমলকি প্লাস” ট্রেডনামের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। এমনকি ইতি পুর্বে তাদের আমলকী রসায়ন (তরল), অরিটলিন তরল (বলারিস্ট) এবং হার্বেজিন সেমিসলিডের (শুক্র সঞ্জীবনী মোদক) নিবন্ধন বাতিল করা হয়েছিলো তার পরেই তারা বেপরোয়া হয়ে অনুমোদনহীন এই ”আমলকি প্লাস” ওষুধ উৎপাদন ও বাজারজাতে করিতেছে।
ড্রাগ প্রশাষন এর ওয়েব সাইটেও ”আমলকি প্লাস” নাম এ প্রডাক্টের তালিকা পাওয়া যায়নি। কথিত অবৈধ ট্রেডনাম ”আমলকি প্লাস” এর ডিএআর নং U-76-A-003, ব্যাচ : E070, উৎপাদন তারিখ : May 2023, মেয়াদ উতীর্ন তারিখ: APR 2-25, যাহার ওষধ উৎপাদন লাইসন্সে নং U-155 ব্যাবহার করে ওষুধ উৎপাদন ও বাজারজাত করিতেছে। অরিজিন ল্যাবরেটরীজ (আয়ুর্বেদীক) বিগত কয়েক বছর ধরে অনুমোদনহীন ”আমলকি প্লাস” নাম এ ওষুধ উৎপাদন ও বাজারজাত করিতেছে।
অরিজিন ল্যাবরেটরীজ (আয়ুর্বেদীক) এর অনুমােদনহীন ট্রেডনামে ওষধ ”আমলকি প্লাস” ওষধটি একক ভাবে বাজারজাত করার দ্বায়িত্ব নিয়েছেন চাদপুরের নকল ভেজাল ব্যাবসায়ি । এমনকি তিনি অবৈধ পন্থায় সোস্যাল মিডিয়া ফেচবুক সহ বিভিন্ন জায়গায় সরকার অনুমোদিত প্রচার করে ওষধটি বিক্রি করছে। তার সাথে যোগাযগে করার পর তিনি প্রতিবেদক কে জানিয়েছেন এসব নিউজে তার কিছু আসে যায় না, সে প্রডাক্ট বাজারযাত করবে তাকে কেউ কিছু বলার নেই। প্রতিবেদককে নিউজ না ছাপানোর জন্যও বলে।
অরিজিন ল্যাবরেটরীজ (আয়ুর্বেদীক) এর ব্যপারে স্থানিয় কিছু লোকজন এর কাছে প্রশ্ন করা হলে তারা জানায় যে দিনের বেলায় ফ্যক্টরী তালা মারা থাকে, ভিতরে কি হয় না হয় আমরা দেখতে পারি না, তবে কিছু একটা হয়তো করে সেই কারনে সব সময় তালা মারা থাকে। এ ব্যাপারে স্থানিয় ড্রাগ সুপার কে ফোন দেওয়া হইলে তিনি বলেন অভিযোগ এর সত্যতা পেলে তিনি ব্যাবস্থা নিবেন।
এ ব্যাপারে কোম্পানির মালিক কে ফোন করলে ফোনে পাওয়া যায় নি। এছাড়া ডাগস এর ওয়েবসাইটে অন্য এক কোম্পানির অনুকুলে ”আমলকি প্লাস” এর ট্রেড নাম এর অনুমোদন আছে বলে দেখা যায়। এ বিষয়ে স্থানিয় এক ওষধ ব্যবসায়িকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন তাহলে এক কোম্পানির নামের অনুমোদন থাকার পরেও কিভাবে অন্য কোম্পানি একই নামে ওষধ বাজার জাত করতে পারে তিনি আরো বলেন চাইলেই তো কেউ বেক্সিমকো এর নাপা নামে কোন ওষুধ উৎপাদন ও বাজারজাত করিতে পারবে না।
মাঝে মধ্যে এরকম কিছু ভেজাল ও অবৈধ ওষধ উৎপাদন কারী প্রতিষ্টান এ ড্রাগসুপার অভিযান পরিচালনা করে জেল-জরিমানা করলেও অবৈধ ব্যবসা বন্ধ করা সম্ভব হয়নি। ফলে নকল-ভেজাল ও অবৈধ ওষুধ ব্যবসায়ীর তালিকায় সিলেট এখনাে শীর্ষে রয়েছে। এসব অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ফুট সাপ্লিমেন্ট ও ফুট সিরাপ ও অনুমােদনহীন ট্রেডনামে ওষধ উৎপাদন করে অসাধু ব্যবসায়ীদের সরবরাহ করার অভিযােগ রয়েছে এসব কোম্পানির বিরুদ্ধে প্রচলিত নিয়মে ব্যবস্থা নিলে অভিযুক্ত কোম্পানীর অবৈধ কর্মকান্ড বন্ধ হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। তাছাড়া এমনাে কিছু কোম্পানী রযেছে যারা প্রশাসনকে ম্যানেজ করে। অবৈধ ব্যবসাকে বৈধ বানিয়ে মানুষের সাথে প্রতারণা করে আসছে। উল্লেখ্য, এসব কোম্পানীর ওষুধ রাজশাহির ওষুধ মার্কেট ছাড়াও বিভিন্ন অঞ্চলে বিক্রি হচ্ছে। এ ব্যাপারে সিলেটের সচেতন ওষুধ ব্যবসায়ীরা ড্রাগ প্রশাসনের মহাপরিচালকের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।
© All rights reserved 2000-2025 © kalerchaka.Com
Leave a Reply