(ছবি : অটককৃত আসামী )
র্যাবের অভিযানে রাজধানীর তেজগাঁও থেকে ক্যান্সারের নকল ঔষধসহ আটক ৩
সম্প্রতি র্যাব-৩ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, এক শ্রেনীর অসাধু প্রতারক চক্র অধিক মুনাফা অর্জনের জন্য বিভিন্ন ঔষধ কোম্পানীর ক্যান্সারের চিকিৎসায় প্রচলিত ও ব্যবহারীত ঔষধ গুলোকে নকল/ভেজাল করে মোড়কজাতের মাধ্যমে তা বাজারজাত করছে এবং বিপদগ্রস্থ সাধারণ মানুষদের সাথে প্রতারণা করে আসছে।
উক্ত সংবাদের সত্যতা যাচাই ও আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য র্যাব-৩ এর একটি দল নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ গাউছুল আজম এর নেতৃত্বে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের সহায়তায় ২২ তারিখ বেলা সাড়ে ৪ টায় রাজধানীর তেজগাঁও ৫০৬/৪ পশ্চিম নাখাল পাড়ার একটি বাসায় অভিযান পরিচালনা করে।
এ সময় আভিযানিক দল ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যালের দূরারোগ্য ব্যাধি ক্যান্সারের চিকিৎসায় ব্যবহারিত ঔষধ “ওসিসেন্ট-৮০” এর মোড়কে বিপুল পরিমান নকল ঔষধ উদ্ধার করে। আভিযানিক দল নকল ঔষধ সংরক্ষন, সরবরাহ ও বাজারজাত করণের দায়ে মোঃ দেলোয়ার হোসেন নবেল (৩৫), পিতা-মোঃ মোশারফ হোসেন, ৫০৬/৪ পশ্চিম নাখালপাড়া, মোঃ আনিছুর রহমান (৩২), পিতা-আব্দুস সোবহান,৫০৬/৪ পশ্চিম নাখালপাড়া এবং মোঃ জুলফিকার হায়দার (৩৬), পিতা-মোঃ নুর মিয়া, বাসা নং-৫৩৯ পশ্চিম নাখালপাড়া, রোড নং-৮ কে আটক করে।
আসামীদের জিজ্ঞাসাবাদে তার জানায় যে, পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত হতে ক্যান্সারের নিন্মমানের ঔষধ ক্রয় করে বাংলাদেশে এনে তা দেশের নামী দামী ঔষধ কোম্পানীর প্রচলিত বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ঔষধের মোড়কে বাজারজাত করে আসছে।
জিজ্ঞাসাবাদে আরো জানায় যে, ফুসফুস (লাংস) ক্যান্সারের চিকিৎসায় ব্যবহারীত “ওসিসেন্ট” ব্র্যান্ডের ১ ব্যাগ ঔষধের বাজার মূল্য ১৫ হাজার টাকা কিন্তু প্রতারক চক্র নিন্মমানের ভেজাল ঔষধ মাত্র ৭ হাজার পাঁচশত টাকায় বাজারে অসাধু বিক্রেতাদের কাছে সরবরাহ করত।
গ্রেফতারকৃত আসামী মোঃ আনিছুর রহমান স্বীকার করে যে, সে ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যাল এর মেডিকেল প্রমোশন অফিসার হওয়া স্বত্ত্বেও সহযোগী মোঃ দেলোয়ার হোসেন @ নবেল ও মোঃ জুলফিকার হায়দারদ্বয়ের মাধ্যমে নিন্মামানের ঔষধ সমূহ বাজারে সরবরাহ ও বাজারজাত করনে জড়িত ছিলেন।
অভিযানে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের পক্ষ হতে ঔষধ তত্ত্বাবধায়ক মাহমুদ হোসেন উপস্থিত ছিলেন। অভিযান পরিচালনা শেষে র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ গাউছুল আজম নকল ঔষধ ক্রয়, সংরক্ষন ও বাজারজাত করনের দায়ে ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যাল এর মেডিক্যাল প্রমোশন অফিসার মোঃ আনিছুর রহমানকে ২ বছর, সহযোগী মোঃ দেলোয়ার হোসেন নবেলকে ২ বছর এবং মোঃ জুলফিকার হায়দারকে ১ বছরের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান এবং প্রত্যেককে ৫ লক্ষ টাকা করে সর্বমোট ১৫ লক্ষ টাকা জরিমানা আদায় করেন।
© All rights reserved 2000-2023 © kalerchaka.Com
Leave a Reply