গৌরাঙ্গ লাল দাস,স্টাফ রিপোর্টার,গোপালগঞ্জ:- গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলায় ৩৯ টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে চলছে শিক্ষার্থীদের পাঠদান। যে কোন মূহর্তে জরাজীর্ন এ সব ভবনে ছাদ ধসে দূর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করছে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকবৃন্দ।
এই ৩৯টি বিদ্যালয়ে বিকল্প কোন ব্যবস্থা না থাকার কারণে বাধ্য হয়ে শিক্ষকগন শিক্ষার্থীদের পাঠদান করাচ্ছেন।
উপজেলা শিক্ষা অফিসসূত্রে জানাগেছে, কোটালীপাড়া উপজেলায় ১৮৭টি সরকারি
প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এর মধ্যে ৩৯টি বিদ্যালয়ে ঝুঁকিপূর্ণ ভবন রয়েছে।
যে সকল বিদ্যালয়ে ঝুঁকিপূর্ণ ভবন রয়েছে সে বিদ্যালয়গুলো হলো, ফেরধরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কেপি মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, নৈয়ারবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পলোটনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ভূতেরবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পশ্চিমকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ভূয়ারপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পশ্চিম উনশিয়া সরকারি
প্রাথমিক বিদ্যালয়, চিত্রাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বড় দক্ষিণপাড়
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, উত্তরপাড়া মাদ্রাসা, কালিকাবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মধ্য মাঝবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বুরুয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, দিঘলীয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বহলতলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, দেওপুড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, টুপুুরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কুশলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কান্দি বানিয়ারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, টিহাটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, শৌলদাহ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, দক্ষিণ পূর্বপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, দক্ষিণ চৌরখুলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মাছপাড়া সরকারি
প্রাথমিক বিদ্যালয়, ত্রিবেনী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, রামনগর সরকারি
প্রাথমিক বিদ্যালয়, গৌতমেরাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পূর্ব বর্ষপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পশ্চিম নৈয়ারবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, উত্তর তালপুকুরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পূর্ব ভেন্নাবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, লেবুবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কলাবাড়ি পশ্চিমপাড় উপেন্দ্র সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পূর্ব পিড়ারবাড়ি সরকারি
প্রাথমিক বিদ্যালয়, উত্তর পূর্বপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পীড়ারবাড়ি মুশরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ফুলবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। বৃহস্পতিবার উপজেলার কলাবাড়ি ইউনিয়নের বুরুয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে শিক্ষার্থীদেরকে পাঠদান করাতে দেখা গেছে।
বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক কমলিনী বাড়ৈ বলেন, আমাদের বিদ্যালয়ে ৩১২জন
শিক্ষার্থী রয়েছে। এর মধ্যে প্রাক প্রাথমিক, দি¦তীয়, পঞ্চম শ্রেণি ও অফিস কক্ষটি ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে রয়েছে। দু’বছর ধরে আমরা উপজেলা শিক্ষা অফিসে চিঠি দিয়ে আসছি। কিন্তু কোন ফল হচ্ছে না। বিকল্প কোন ব্যবস্থা না থাকার কারণে আমরা এই ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে শিক্ষার্থীদের পাঠদান করাচ্ছি।
বিদ্যালয়টির সহকারী শিক্ষক তপতী অধিকারী বলেন, আমাদের ভবনটির বিভিন্ন
শ্রেণি ও অফিস কক্ষে পলেস্তারা খসে খসে পড়ছে। প্রতিনিয়ত আমরা ঝুঁকির মধ্যে থাকি। ঝুঁকির মধ্যে দিয়েই শিক্ষার্থীদের পাঠদান করাই। কোন দূর্ঘটনা ঘটার আগেই কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিৎ।
ফেরধরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এস এম জাকির হোসেন
বলেন, আমাদের বিদ্যালয়ে দুটি টিন সেট ভবনই ৯০ সালের দিকে নির্মিত হয়েছে।
ভবন দুটির চালের টিনগুলো ছিদ্র হয়ে গেছে। বৃষ্টি হলেই শিক্ষার্থীরা ভিজে যায়। এখানে নতুন ভবন প্রয়োজন।
ভারপ্রাপ্ত উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা বিদ্যা রতন বিশ্বাস বলেন, গত এপ্রিল মাসে এই ৩৯টি বিদ্যালয়ের ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের তালিকা আমরা প্রাথমিক ও গনশিক্ষা মন্ত্রনালয়ে পাঠিয়েছি। তালিকা পাঠানোর পরে ভূয়ারপাড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, চিত্রাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, দক্ষিণপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মাছপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং
লেবুবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নতুন ভবন নির্মান প্রক্রিয়াধীন
রয়েছে। আশা করি খুব শীঘ্রই বাকি ভবনগুলো নির্মান প্রক্রিয়ায় চলে আসবে।
© All rights reserved 2000-2025 © kalerchaka.Com
Leave a Reply