ফাইল ছবি
আসন্ন বর্ষার প্রস্তুতি হিসেবে সারাদেশে নদীভাঙনে ঝুঁকিপূর্ণ অন্তত ১০টি জেলায় বাঁধনির্মাণ কাজ অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়। শরীয়তপুরের নড়িয়া, চাঁদপুর, টাঙ্গাইল, রাজবাড়ী, মাদারীপুর, লক্ষীপুর, কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, নড়াইল এবং সিরাজগঞ্জের চিহ্নিত এলাকায় বাঁধনির্মাণ ও বাঁধ পুনঃরক্ষার কাজ চলমান রয়েছে বলে জানিয়েছে মন্ত্রণালয়।
সোমবার পানিসম্পদ মন্ত্রলায়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীম বলেন, বর্ষা সমাগত হওয়ায় আগেই আমরা ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা চিহ্নিত করে তীররক্ষার কাজ শুরু করেছি। এবার কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ যাতে দেশের বা মানুষের কোনো ক্ষতি না করতে পারে সে লক্ষ্যে বিদ্যমান করোনা সংকটেও স্বাস্থ্যবিধি মেনে কাজ অব্যাহত রাখতে নির্দেশনা দিয়েছি। মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড (বাপাউবো) ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সকল কাজের সমন্বয় করছে। তাছাড়া বাপাউবো মহাপরিচালকসহ একাধিক কর্মকর্তা বিভিন্ন ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার কাজ স্বশরীরে গিয়ে তদারকি করছেন। গত ২৯ এপ্রিল আমি নিজেও পদ্মার তীররক্ষার কাজের অগ্রগতি পরিদর্শন করেছি।
হাওরাঞ্চলের প্রস্তুতির কথা উল্লেখ করে উপমন্ত্রী শামীম বলেন, হাওর এলাকায় পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের আগাম প্রস্তুতির জন্য এবার ফসলরক্ষা হয়েছে। তাছাড়া অতীতের মতো বন্যা বা নদীভাঙনে মানুষের জান-মালের যাতে কোনো ক্ষতি না হয় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা ও নেতৃত্বে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় সেলক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে।
প্রসঙ্গত, ভাঙ্গনপ্রবণ ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা চিহ্নিত করতে প্রধান প্রকৌশলী (বাপাউবো) ও তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীদের সমন্বয়ে টিম গঠন করা হয়। এর আগে গত ১৯ এপ্রিল মন্ত্রণালয়ে বর্ষায় ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় করণীয় সম্পর্কে মন্ত্রণালয়ে আলোচনা সভা করেছে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়। এর ধারাবাহিকতায় ৩ মে পুনরায় সভা অনুষ্ঠিত হয় যেখানে চলমান কাজ ত্বরান্বিত করতে আলোচনা হয়। ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার কাজের পাশাপাশি সারাদেশে তীররক্ষার অধিকাংশ প্রকল্পের কাজ অব্যাহত আছে।
(ঢাকাটাইমস/১১মে/কারই/জেবি)
© All rights reserved 2000-2023 © kalerchaka.Com
Leave a Reply